দখিনের খবর ডেস্ক ॥ পটুয়াখালীর বাউফল থানার সামনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের পর স্থানীয় এক বিএনপি নেতার নেতৃত্বে সেই জায়গা আবার দখল করে নেয়া হয়েছে। ইউএনও বলেছেন, ওই জমি সরকারি বিপরীতে দখলকারী বলেছেন, তাদের সম্পত্তি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাউফল থানার সামনে ১নং খাস খতিয়ানের ৩৮ শতাংশ জমির মধ্যে মুক্তিযোদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ৮ শতাংশ জমি বরাদ্ধ দেয়া হয়। ওই জমিতে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫১ হাজার ৮শ ৩৬ টাকা ৫৫ পয়সা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ চলছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের নেতৃত্বে কমপ্লেক্সের সামনের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের পর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সুলতান আহম্মেদের পুত্র সাবেক ছাত্রদল নেতা আনোয়ার হোসেন লোকজন নিয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ওই জায়গা দখল করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
ইউএনও জাকির হোসেন বলেন,‘ ওই জায়গা ১নং খাস খতিয়ানের। ৮ শতাংশ জমি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আনোয়ার হোসেন গংরা যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদলতের একটি আদেশের কপি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জায়গায় সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ওই আদেশে জনৈক সৈয়দ আহম্মেদকে বিবাদী করা হলেও সরকারকে কোন বিবাদী করা হয়নি। আদালতকে ভুল বুঝিয়ে এক তরফা একটি আদেশ নেয়া হয়েছে। আমরা কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করেবো।’ দখলকারী আনোয়ার হোসেন বলেন,‘ ৮৭ জেএলের ৪৭১ খতিয়ানের ১০৪০ নং দাগের (হাল দাগ নং বাটারা দাগ নং ১) ১৮ শতাংশ জমির মধ্যে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ জমির মালিক তিনি ও বাকি ১ দশমিক ৬ শতাংশ জমির মালিক মাইনুদ্দীন হাওলাদার। দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গা বেদখল ছিল। আদালতের নির্দেশে উকিল কমিশনের মাধ্যমে আমাদের জায়গার দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে এবং জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কোন জায়গা দখল করিনি।’ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শামসুল আলম মিয়া বলেন, ‘দখলকারীরা প্রকৃতপক্ষে দখলবাজ। তাদের কাজই হচ্ছে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে অন্যের সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করা। ১ নম্বর খাস খতিয়ান থেকে সরকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ৮ শতাংশ জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। ওই জমিতে বর্তমানে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে তারা আদালতের এক তরফা একটি আদেশ নিয়ে ওই জায়গা তাদের বলে দাবি করেছেন। আমরা এ ব্যাপারে অবশ্যই আদালতের স্মরণাপন্ন হবো।’
Leave a Reply